হজরত রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কারও বাড়িতে দাওয়াত খেতে গেলে বাড়িওয়ালার জন্য দোয়া না করে ফিরে আসতেন না। আবু দাউদ (রহ.) আবুল হাইসাম (রা.)-এর ঘটনায় উল্লেখ করেছেন যে, আবুল হাইসাম হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) ও তার সাহাবিদের দাওয়াত করলেন। খাওয়া শেষে তিনি বলেন, তোমাদের ভাইকে সওয়াব দান করো। তারা বলেন, কীভাবে আমরা তাকে সওয়াব প্রদান করব? তিনি বলেন, কাউকে যখন কোনো ঘরে খাওয়ার জন্য ডাকা হবে তখন পানাহার করার পর সে যদি মেজবানের জন্য (নিমন্ত্রণকারীর জন্য) দোয়া করে, তাহলে এটিই হবে ঘরওয়ালাকে সওয়াব পৌঁছানোর নামান্তর।
রাসুলুল্লাহ (সা.) একবার সাদ বিন উবাদা (রা.)-এর ঘরে দাওয়াত খেয়ে এই দোয়া করেছেন
উচ্চারণ : ‘আফতারা ইনদাকুমুস সায়িমুন ওয়া আকালা ত্বয়ামাকুমুল আবরার ওয়া সাল্লাত আলাইকুমুল মালাইকা।’
অর্থ : রোজাদাররা তোমাদের কাছে ইফতার করেছে, সৎ লোকেরা তোমাদের খাবার গ্রহণ করেছেন এবং ফেরেশতারা তোমাদের জন্য দোয়া করেছেন।’ সুনানে আবু দাউদ : ৩৮৫৪
অন্য হাদিসে এসেছে, একবার হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) রাতে তার ঘরে প্রবেশ করেন এবং খাবার তালাশ করেন। কিন্তু কিছুই পেলেন না। তখন তিনি এই দোয়া পাঠ করেন
উচ্চারণ : ‘আল্লাহুম্মা আত-ইম মান আত-আমানি ওয়াসকি মান সাকা-নি।’
অর্থ : ‘হে আল্লাহ, যে আমাকে খাওয়াবে, তুমি তার খাদ্যে বরকত দান করো; আর যে আমাকে পান করাবে, তুমি তাকেও পান করাও।’ সহিহ মুসলিম : ৫২৫৭
হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) ছোট-বড়, স্বাধীন-ক্রীতদাস সবার সঙ্গে বসে খাবার খেতে পছন্দ করতেন। একবার রাসুলুল্লাহ (সা.) কুষ্ঠরোগীর হাত ধরে তার সঙ্গে একই থালায় খেতে বসিয়ে বলেছেন, ‘বিসমিল্লাহ’ বলে খাও। আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস করো এবং তার ওপর ভরসা করো।
নবী করিম (সা.) ডান হাতে খেতে আদেশ করেছেন এবং বাম হাতে খেতে নিষেধ করেছেন। তিনি বলতেন, শয়তান বাম হাতে খায় এবং বাম হাতে পান করে।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।